মেঘ বালিকা
-অমল দাস
মেঘের খামে বার্তা এলো- এক পশলা বৃষ্টি,
এক ঝাপটা হাওয়া। পলক পলক দৃষ্টি –
ভিজে, চেয়েছিলাম হারিয়ে যাবো-
কোনো মেঘ বালিকার খোঁজে!
হয়তো সে মেঘের গায়ে, মেঘের শাড়ি, মেঘের চুড়ি পরে-
সিঁদুর মেঘের রঙে -আলতা পায়ে সেজে,
শান্ত জলের ঘুম ভাঙাবে অভিমানী আনমনা ঝিল চরে।
আমি উতল হাওয়ার মাতলামিতে উড়িয়ে নেবো
বুকের আঁচলটারে।
মেঘের খামে বার্তা এলো- একপশলা বৃষ্টি..
ফেরার পথে ফিরব না আর! যা কিছু মোর সৃষ্টি-
আজ – সবই দেবো আঁচল বেঁধে তার!
এই জল থৈ থৈ খণ্ড শ্রাবণ -সেই বালিকার আমায় উপহার।
ভগ্ন তটে নিলাম তবে গোধূল বেলার ঢেউ
পাল ছিঁড়েছে? ছিঁড়ুক দেখি! হাল ধরো না কেউ!
হাল-হাকিকৎ পাঁজির খাতায় তিথির দোষে
জাবর কাটে। মেঘ বালিকার মুখোমুখি বসে
আমি কাটিয়ে দেবো সমস্ত দিনমান।
স্বরলিপি সাঙ্গ করি তার আঙুলে গীটার তারে জন্ম নেবে গান..
মেঘের খামে বার্তা এলো- এক পশলা বৃষ্টি..
ধান চাতালে আকাশের নীল ছেড়ে -আমি মিষ্টি
ময়নার ডানায় চরে মেঘের গ্রামে গ্রামে
পৌঁছে যাবো। লিখব চিঠি মেঘ বালিকার নামে-
যে ঠিকানায়, সেই ঠিকানায় পালক ঝরে। তার গঙ্গাবেণী কেশ-
ছুঁয়ে বৃষ্টি দানায় ত্বক ভিজিয়ে দেখব অনিমেষ
তার রূপের ছটায় জ্বলছি কেমন করে!
পৃথিবীর গর্ভ থেকেও উঠবো জেগে
যদি সে ডাকে -নাম ধরে…
অসাধারণ সৃষ্টি ।
ধন্যবাদ দাদা
আহা ভীষণ সুন্দর বন্ধু
একরাশ মুগ্ধতা বন্ধু
আমার বেশ ভালো লাগলো। ভাবনা এবং সৃষ্টি দুই ই বেশ চমৎকার। সুন্দর।
অশেষ ধন্যবাদ। শুভ সপ্তমীর শুভেচ্ছা নেবেন
ভালো কবিতা পড়তে পারা ভাগ্য,
আপনি সেই সুযোগ করে দিয়ে, কৃতজ্ঞতা ভাজন হয়েছেন।
।। সুনির্মল বসু।।